স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ওপারে চলে গেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
সোমবার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও ১ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।
আল মামুন সরকারের শ্যালক মোঃ তানভীর আহমেদ জানান,আল মামুন সরকার দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। সোমবার সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান। পরে তিনি বাথরুম থেকে এসে ফের ঘুমিয়ে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে, আল মামুন সরকারের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসে ভীড় জমান তার শ্বশুর বাড়িতে। প্রিয় নেতার মৃত্যুতে শোকাভিভূত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে, বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাকে দেখতে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এসময় তাঁরা মরহুমের পরিবারের সাথে দেখা করে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে।
পরে আজ বাদ আছর জেলা ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় তার মরদেহ শেরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে নামাজে জানাজার পূর্বে মরহুমের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জেলার বিশিষ্টজনেরা।
উল্লেখ্য, আল মামুন সরকার ১৯৫৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আয়নাডোবা গ্রামের ছাফিউর রহমান সরকার ও আনোয়ারা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৭ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় পদকেও ভূষিত করা হয় আল মামুন সরকারকে। সর্বশেষ জেলা পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply